
মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের এক নিকট আত্মীয়।
তৃণমূল সুত্রের খবর, আসাদুল বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তিকে খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার জন্য "ইন্ধন" জুগিয়েছে বাইরন বিশ্বাসের পরিবারের লোকজন।
ইতিমধ্যে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক এলাকায় আসাদুল বিশ্বাসের সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ বাইরন বিশ্বাসের বাবা বাবর আলি বিশ্বাস নিজে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একাধিক বিধানসভা এলাকায় গিয়ে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে দেখা করে আসাদুল বিশ্বাসের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।
জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন- আসাদুল বিশ্বাস সম্পর্কে বাইরন বিশ্বাসের মামাতো ভাই হন। ওই যুবক ভোটে লড়তে রাজি না থাকলেও তাঁকে একপ্রকার জোর করে বিশ্বাস পরিবারে তরফ থেকে চাপ দিয়ে ভোটে দাঁড় করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে আসাদুলের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন - আসাদুলের লক্ষ্য ভোটে জেতা নয়। তিনি চেষ্টা করছেন যাতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী খলিলুর রহমানের ভোট কাটা যায়।
তবে আসাদুল যাতে ভোটে লড়াই না করেন এই অনুরোধ নিয়ে খলিলুর রহমানের সাথে ইতিমধ্যে বাবর আলি বিশ্বাসের কয়েকবার কথা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।তবে সেই অনুরোধে এখনও কোনও ফল হয়নি বলেই তৃণমূল সুত্রে জানা গেছে।
তৃণমূলের এক শীর্ষ পদাধিকারী বলেন- শুক্রবার খড়গ্রাম এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালাতে গেলে সেখানে আসাদুল সমর্থকদের সাথে তৃণমূল সমর্থকদের একটি ছোটখাটো বাকযুদ্ধ হয়েছে।
যদিও আসাদুলকে নিজের "ঘনিষ্ঠ আত্মীয়" হিসেবে মানতে নারাজ বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। তিনি বলেন, "ওই ব্যক্তি আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় এবং তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনও যোগাযোগ নেই। সে কী করছে আমি জানি না।"
তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, "আসাদুল বিশ্বাস নামে যে ব্যক্তি নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রচার করছেন তিনি যে বাইরন বিশ্বাসের পরিবারের লোক তা সকলেই জানেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমার সাথে বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের বাবা বাবর আলি বিশ্বাসের সাথে কথা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি।"